ভান্ডারিয়া প্রতিবেদক ॥ করোনা দুর্যোগকালিন সময়ে পশু খামারীদের জরুরী সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ছয়টি ইউনিয়নে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের মাঠকর্মীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। কারোনাকালিন সেবা দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ এড়াতে রোববার এই বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। জানাগেছে, উপজেলা পশুসম্পদ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়নে ১৯৪৬ মুরগীর খামার, ৯২০০ ছাগলের, ৬৩৭০ গরুর, ৩৯৪ মহিষ, ৪৭০ দেশীয় হাসের খামার, ২০ চীনা হাসের খামার ৬টি টারকী মুরগীর খামার, ৩৭ কবুতরের খামার ৪টি কোয়েলের খামার ও ১টি হরিনের খামার রয়েছে।
এসময় খামারে পশুর রোগবালাইসহ সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হচ্ছে প্রাণীসম্পদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ ক্ষেত্রে খামারগুলোতে গিয়েও কাজ করতে হয় কর্মীদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে খামারীদের জরুরী সেবা কার্যক্রম ব্যহত হয়। তার মধ্যে করোনা পরিস্থিতির মহামারী ঠেকাতে এরই মধ্যে ভান্ডারিয়া পৌরসভা এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। যার কারণে প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মীদের যাতায়াতে যেমন সময় ব্যায় হয় তেমনি অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হয় তাদেরকে। এই বিরম্বনা থেকে মুক্তি দিতেই উপজেলার প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের উদ্যোগে ছয়টি ইউনিয়নের কর্মীদের ছয়টি বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুমা সরকার জানান, করোনা কালীন বিভিন্ন ধরনের সেবা মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসাবে মাঠ পর্যায়ে সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও বাই সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এখনো খামারিরা দক্ষ ও আধুনিক চিকিৎসা নির্ভর হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে দূর্ঘটনা ও পশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পাখী সংরক্ষণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন পশু-পাখির সেবার মান আরও উন্নত করতে হবে এবং অতিথি পাখি ও দেশীয় পাখি সংরক্ষণের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রশারন কর্মকর্তা ডাঃ শোভন হালদার বলেন, এ খাত থেকে সরকার ব্যপক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবে। সুষম খাবারের চাহিদা মেটাতে ও খামারিরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। তবে পশুপাখির মাধ্যমে করোনা উপসর্গ ছড়ানোর সম্ভবনা আছে বিধায় সবাইকে নিরাপত্তাবিধি মানা ও সচেতন হাওয়ায় আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply